Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ভাষা ও সংষ্কৃতি

ভাষাঃ শাহবাজপুরীয়া, ভুলুয়া, সংস্কৃতিঃ লাঠিখেলা, পালাগান, জারীগান, ভাটিয়ালি গান, যাত্রা

 

বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর জেলার অমত্মর্গত মেঘনার মোহনায় দেশের নবসৃষ্ট অন্যতম উপজেরাল নাম ‘কমলনগর’ উপজেলা জনস্বার্থে এবং প্রশাসনিক সুবিধা জনগনের দ্বোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য সাবেক রামগতি উপলোকে বিভঅজন করে এ উপজেলার সৃষ্টি হয়েছে।

          বাংলাদেশের জাতীয় সংসদেও প্রাক্তন সংসদ সদস্য ভাষা সৈনিক মরহুম মোহাম্মদ তোয়াহা (১৯৫৪) ও তৎকালীন রামগতি হাতিয়ার সদসদ সদস্য মরহুম আবুল খায়ের রামগতিকে ১৯৮১ সালে দুইটি থানা করার প্রসত্মাবের প্রেক্ষিতে তৎকালীন ফাইন্যান্স সেক্রেটারী মরহুম কফিল উদ্দিন আহাম্মদ সংশিস্নষ্ট মন্ত্রনালয়ে এ সংক্রামত্ম একটি প্রতিবেদন জমা দেন। পরবর্তীতে প্রাক্তন বস্ত্র পতিমন্ত্রী মেজর (অবঃ) আবদুল মান্নান কর্তৃক উহা পুনঃ উপস্থাপনের কালক্রমে এ এরাকার জনসাধারনের দাবীর প্রেক্ষিতেলক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি/কমলনগর) আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব এ বি এম আশরাফ উদ্দিন নিজান এর অক্লামত্ম প্রচাষ্টায় ১৭ নভেম্বর ২০০৫ ইং প্রশাসনিক পুনঃ বিন্যাস জাতীয় কমিটির ৯৩ তম সভায় লক্ষ।মীপুর জেলার রামগতি উপজেলাকে বিভাজন কওে কমলনগর নামে দেশের ৪৭২ তম উপজেলা গঠনের প্রসত্মাব অনুমোদন করা হয়। (০৬-০৬-২০০৬ সাল)। উপজেলার নামকরণ করা হয় শহীদ জিয়াউর রহমানের ডাক নাম ‘কমলের ’ নামানুসারে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার সাবেক ৫টি যা বর্তমানে ৯টি কমলনগর নামের তনতুন প্রশাসনিক উপলো গঠিত হয়।

পাকিসত্মান নামক রাষ্ট্রের প্রথম ভাগে হাতিয়া ও সন্দ্বীপের মত দেশের মূল  ভূ-ভাগ থেকে রামগতি  ও ছিল একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ । ১৬৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টীয় সরকারের আমলে মেহনতি মানুষের নেতা প্রায়ত কমরেড মোহাম্মদ তোয়াহা রামগতির উত্তর অংশ (কমলনগর উপজেলাকে) চর লরেন্স থেকে ভবানীগঞ্জ চৌরাসত্মা পর্যমত্ম মেঘনা ক্রসড্যাম নামক বাঁধটির দ্বারা লক্ষ্মীপুরের মূল ভূ-খন্ডের সাথে যুক্ত করেন। এ জনপদ সৃষ্টির ইতিহাস বেশি দিনের নয় , বিগত ১৩০ বা ১৪০ বছর পূর্বে এখানে সৃষ্ট চরাঞ্চলে পাশ্ববর্তী শাহবাজপুর  (ভোলা-বরিশাল) লক্ষ্মীপুর, হাতিয়া এবং সন্দ্বীপ থেকে বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষা ভাষীর জনগন এস এখানে স্থায়ী বসতি গড়ে তোলে । আঞ্চলিক ভাষাভাষীদের সংখ্যাধিক্য পরিলক্ষিত হচ্ছে   ৩১৫ বর্গ কিলোমিটার বিশিষ্ট এ উপজেলার জনসংখ্যা ২,২২,৯১৫ জন।

          প্রয়াত কবি ও সাংবাদিক সানা উল্যাহ নূরীর জন্মস্থান এটি। স্বল্প সংখ্যক সরকারি চাকুরীজিবী, শিক্ষক কবি, সাহিত্যিক,প্রবাসী ও রাজনীতিবিদের কথা বাদ দিলে একানকার শতকরা ৯৯ ভাগ মানুষের আয় রোজগার নির্ভও করছে কৃষি ও মৎস্য আহরনের উপর । শিক্ষা-দীক্ষা  দেশের অন্যান্য উপজেলা থেকে এ উপজেলা এখনও অনেক পিছিয়ে আছে। কমলনগরের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭% হিন্দু জনগনের সাথে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলি জনগর খুবই সাম্পদায়িক সম্প্রীতি সহকারে  মিলেমিশে গু সংগ্রামী  জনগনের অংশ। তারা ঝড়-ঝঞ্চবা সাইক্লোন, সিগর আইলা, ও মহাসেনের সাথে প্রতিনিয়ত লড়াই করে বেচে আছে।

অতি সম্প্রতিকালে কমলনগরের এক চতুর্থাংশ জনপদ মেঘনার অব্যাহত ভাঙ্গনে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার সরকারি বেসরকারি সম্পদেও ক্ষতি  হয়েছে। গৃহহারা হয়েছে ৫০ হাজার পরিবার। আশ্রয়হীন, সহায় সম্বলহীন হয়ে পড়ায় এলাকার প্রতি সকলের সদয় দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।

          দেশীয় আমর্ত্মজাতিক ফুটবল ও ক্রিকেট খেলা, হা-ডু-ডু, গোলস্নাছুট, দাঁড়িয়াবান্ধা, কানামাছি খেলা সমূহ এখনকার জনগন এষনও প্রাণভরে উপভোগ করে। 

       

তথ্য সূত্র

মোঃ আব্দুল মোতালেব

অধ্যক্ষ

হাজির হাট উপকূল কলেজ

কমলনগর, লক্ষ্মীপুর।