ভাষা সৈনিক কমরেড মোহাম্মদ তোয়াহা ২ জানুয়ারী ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন নোয়াখালী জেলার ফরাসগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। ভুলুয়া নদীর ভাঙ্গনে তাঁর পরিবার রামগতি উপজেলার চর জাঙ্গালিয়া গ্রামে বসতি স্থাপন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবী সাহিত্য, অর্থনীতি ও ইংরেজী সাহিত্যে এমএ পাশ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র জীবনে মহান ভাষা আন্দোলনে প্রত্যক্ষভাবে নেতৃত্ব দেন। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৫৮ সালে ভুলুয়া ও মেঘনা নদীর বুকে জেগে উঠা চরে বাঁধ নির্মান করে রামগতি থানাকে লক্ষ্মীপুর ভুখন্ডের সাথে যুক্ত করেছেন। ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় বারের মত জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে রামগতি থানার উত্তরাঞ্চলে হাজিরহাট থানা গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। যার ধারাবাহিকতায় কমলনগর নামে নতুন উপজেলা সৃষ্টি হয়। গরীব মেহনতী মানুষের শোষন বঞ্চনার মুক্তি সংগ্রামের অন্যতম নেতা কমরেড মোহাম্মদ তোয়াহা ১৯৮৭ সালের ২৯ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর স্মরনে ১৯৯১ সালে তাঁর স্ত্রী হাজিরহাট তোয়াহা স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। বিদ্যালয়ের সম্মুখে এ মহান ভাষা সৈনিকের স্মৃতি সৌধ নির্মান করা হয়েছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস